Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ক্ষুদ্রসেচ উইং এর পটভূমি

ক্ষুদ্রসেচ উইং

কৃষি প্রধান বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বিএডিসি’র ক্ষুদ্রসেচ উইং এর ভূমিকা অপরিহার্য। ১৯৬০ এর দশকে মাত্র ১,৫৫৫টি শক্তিচালিত পাম্পের মাধ্যমে বিএডিসি কর্তৃক দেশে আধুনিক সেচ ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ব্যবস্থার প্রচলন ঘটে। ক্ষুদ্রসেচ উইং বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ ও ভূপরিস্থ পানির ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারে সেচ ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুবিধা সম্প্রসারণ করে খাদ্য উৎপাদনে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ২০২০-২১ সেচ মৌসুমে সারাদেশে সেচকৃত জমির পরিমাণ ৫৬.৫৪ লক্ষ হেক্টর। খাদ্য উৎপাদনে দেশে দুই ধরনের সেচ কার্যক্রম প্রচলিত আছে- বৃহৎ সেচ ও ক্ষুদ্র সেচ। রবি মৌসুমে ক্ষুদ্র সেচের মাধ্যমে ৯৫% এবং বৃহৎ সেচের মাধ্যমে ৫% জমিতে সেচ প্রদান করা হচ্ছে। তন্মধ্যে সারাদেশে ভূপরিস্থ পানির সাহায্যে ২৭.৩৫% এবং ভূগর্ভস্থ পানির সাহায্যে ৭২.৬৫% জমিতে সেচ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের নির্বাচনী ইশহেতার-২০১৮ অনুযায়ী পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা ও কৃষি ব্যবস্থায় যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে রূপকল্প (Vision)-২০২১ সফলভাবে সম্পন্নকরণের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (SDG) বাস্তবায়ন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জন এবং শতবর্ষী ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (Delta Plan-2100) এর আলোকে বিএডিসি ক্ষুদ্রসেচ উইং খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বহুমুখী সেচ সেবা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে:

  • খাল/নালা/পুকুর খনন/পুনঃখনন/সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূপরিস্থ পানির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণপূর্বক সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং জলাবদ্ধতা দূর করে জলাবদ্ধ ও অধঃপতিত জমি আবাদী জমিতে রূপান্তরকরণ;
  • অনাবাদী জমি সেচের আওতায় আনয়নপূর্বক সেচ এলাকা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা;
  • পানি সাশ্রয়ী অর্থাৎ যে সকল ফসলের সেচ কম লাগে সে সকল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে সেচ খরচ হ্রাসকরণ;
  • অচল/অকেজো গভীর/ফোর্সমোড নলকূপ সচলকরণের মাধ্যমে লাগসই ও টেকসই সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ;
  • বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রসমূহের বিদ্যুতায়ন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সেচ খরচ হ্রাসকরণ;
  • সেচযন্ত্রে স্মার্ট কার্ড বেইজ্ড প্রিপেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে সেচ দক্ষতা ও সেচের পানির অপচয় রোধকরণ;
  • নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন- সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, বায়োগ্যাস ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ;
  • সেচ কাজে ভূপরিস্থ পানি সম্পদের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার, সম্প্রসারণ ও সুসংহত করার কার্যক্রম গ্রহণ (যেমন: রাবার/হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ);
  • সৌরশক্তিচালিত পাতকুয়া (Dugwell) স্থাপনের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ;
  • পাহাড়ি এলাকায় আর্টেশিয়ান নলকূপ (Artesian Well) স্থাপনের মাধ্যমে কম খরচে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ;
  • বারিড পাইপ ও পাকা সেচনালা, আধুনিক ড্রিপ ও স্প্রিংকলার সেচ ব্যবস্থা স্থাপনের মাধ্যমে সেচ এলাকা (Command Area) সম্প্রসারণ, সেচের পানির অপচয়রোধ, সেচ খরচ হ্রাস, সেচের নিবিড়তা এবং সেচ দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ;
  • ভূপরিস্থ পানির প্রাপ্যতাবিহীন এলাকায় ফোর্সমোড নলকূপ স্থাপন;
  • ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার হ্রাসকরণের মাধ্যমে ভূপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ;
  • পাহাড়ি এলাকায় স্থায়ী জলাধার তৈরি এবং সেচ কার্যক্রম পরিচালনা;
  • ফসলের ফলন পার্থক্য (Yield Gap) কমানো;
  • AWD (Alternate Wetting and Drying), ফিতা পাইপ ও পোর্টেবল/মোভেবল সেচ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচের পানির অপচয় রোধ করে সেচ খরচ কমানো এবং সেচ দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ;
  • সেচ, পানি ব্যবস্থাপনা ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ওপর একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলা এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষক পর্যন্ত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে পৌঁছানো;
  • পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব পলিশেড নির্মাণের মাধ্যমে নিরাপদ ও রপ্তানিযোগ্য সবজি, ফুল ও ফল উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ;
  • বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে সেচ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ;
  • ভূগর্ভস্থ লবণ পানির অনুপ্রবেশ মনিটরিং এর মাধ্যমে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির লবণাক্ততা পর্যবেক্ষণ এবং লবণাক্ততা নিরূপণের মাধ্যমে Salinity Intrusion Map তৈরিকরণ;
  • ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়নের লক্ষ্যে সেচযন্ত্র, সেচ এলাকা, সেচের পানি ইত্যাদির নিয়মিত জরিপ, অনুসন্ধান, পানির গুণাগুণ পরীক্ষাকরণ, ভূগর্ভস্থ পানি মনিটরিং এ অটো ওয়াটার লেভেল রেকর্ডার ও ডাটা লগার স্থাপন এবং পর্যবেক্ষণ নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ স্থিতিশীল পানির স্তর পরিমাপ করে Ground Water Zoning Map তৈরিকরণ;
  • Smart Agricultural Practice, Space Technology (ST), Remote Sensing (RS), Geophysical Survey এর মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ, আধুনিক প্রযুক্তি যেমন: Geographic Information System (GIS) Modelling এর মাধ্যমে বিশেস্নষণ, পরিবীক্ষণপূর্বক সুপারিশ প্রণয়ন, প্রচার এবং ডাটাবেজ উন্নয়ন ও সরকারকে তা অবহিতকরণ;
  • সেচ বিভাগসহ অন্যান্য উইং সংস্থা/অধিদপ্তরের অফিস ভবন/স্থাপনা নির্মাণ, মেরামত রক্ষণাবেক্ষণকরণ;
  • মাঠ পর্যায়ে কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানি আইন-২০১৮ ও তদীয় বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী সেচযন্ত্রের লাইসেন্স প্রদান;
  • সংস্থার নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য পিপিআর/সংশিস্নষ্ট বিধি অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তি ও নবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ;
  • নির্মাণ কাজের ড্রইং, ডিজাইন ও প্রাক্কলন প্রণয়ন এবং মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে কারিগরি দিক নির্দেশনা প্রদান;
  • কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সংস্থার চাহিদার প্রেক্ষক্ষতে নির্মাণ কাজের প্রয়োজনীয় ড্রইং, ডিজাইন, প্রাক্কলন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন;
  • সর্বোপরি কৃষি ব্যবস্থা যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণে সহায়তা প্রদান।

 

ফসলের ফলন পার্থক্য (Yield Gap) কমানো:

  • সময়মত ও পরিমাণমত ফসলে সেচের ব্যবস্থা করা;
  • কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে স্বল্প সময়ে কৃষি জমি তৈরি, ফসল সংগ্রহ, কর্তন এবং পরবর্তী ফসল নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা;
  • ‘অন ফার্ম ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করে তোলা।

২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি (SDG) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএডিসি ক্ষুদ্রসেচ উইং এর ভিশন:

  • বিএডিসি’র মাধ্যমে ৭.৬০ লক্ষ হেক্টর সেচ এলাকা টেকসইকরণ;
  • সেচ দক্ষতা ৩৮% থেকে ৫০% এ উন্নীতকরণ;
  • সেচ কাজে ভূপরিস্থ পানির ব্যবহার ৩০% এ উন্নীতকরণ;  
  • সেচ কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ৭০% এ হ্রাসকরণ। 

 একনজরে ক্ষুদ্রসেচ উইং এর কার্যক্রম (জুলাই, ২০০৯ হতে জুন, ২০২২ পর্যন্ত)

ক্রমিক নং

কার্যক্রমের নাম

একক

প্রকল্পের আওতায়

কর্মসূচির আওতায়

মোট

১.

খাল/নালা খনন/পুনঃখনন/সংস্কারকরণ

কি.মি.

৬৭৮৪

৩৭৫৮

১০৫৪২

২.

ভূপরিস্থ সেচনালা নির্মাণ

কি.মি.

১৮৫০

১০৬২

২৯১২

৩.

ভূগর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ (বারিড পাইপ)

কি.মি.

১১২৭৮

১৮৫

১১৪৬৩

৪.

সেচ অবকাঠামো নির্মাণ

সংখ্যা

৪৯১৯

৪৮৩৪

৯৭৫৩

৫.

সেচযন্ত্র বৈদ্যুতিকরণ

সংখ্যা

৪৫৪২

৭৯৫

৫৩৩৭

৬.

বেড়ী বাঁধ/ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ

কি.মি.

১৪৫

১০৪

২৪৯

৭.

পাহাড়ী এলাকায় ঝিরি বাঁধ নির্মাণ 

সংখ্যা

-

৮৬

৮৬

৮.

গভীর নলকূপ স্থাপন

সংখ্যা

১৩৩৫

৩১২

১৬৪৭

৯.

গভীর নলকূপ পুনর্বাসন

সংখ্যা

১৬২৮

৪০

১৬৬৮

১০.

অগভীর নলকূপ স্থাপন

সংখ্যা

২০২

-

২০২

১১.

আর্টেশিয়ান নলকূপ স্থাপন

সংখ্যা

৪৭৫

-

৪৭৫

১২.

শক্তিচালিত/ ভাসমান পাম্প স্থাপন ও ক্ষেত্রায়ন

সংখ্যা

৪০০৯

৩৬৮৭

৭৬৯৬

১৩.

সৌরশক্তিচালিত সেচ পাম্প স্থাপন

সংখ্যা

৩২২

১২৮

৪৫০

১৪.

সৌরশক্তিচালিত ডাগওয়েল স্থাপন

সংখ্যা

১৬১

৩০

১৯১

১৫.

ডাগওয়েল স্থাপন

সংখ্যা

-

৬৮

৬৮

১৬.

রাবার ড্যাম নির্মাণ

সংখ্যা

১২

-

১২

১৭.

হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ

সংখ্যা

-

১৮.

সেনিপা সংগ্রহ এবং বিতরণ

সংখ্যা

২২৯৫

৩১০৬০

৩৩৩৫৫

১৯.

ফিতা পাইপ সংগ্রহ এবং বিতরণ

মিটার

৪১৩৮০০

৫৫০০

৪১৯৩০০

২০.

স্মার্টকার্ড প্রিপেইড মিটার স্থাপন

সংখ্যা

২৪৫৮

-

২৪৫৮

২১.

ভূগর্ভস্থ পানিতল পর্যবেক্ষণ নলকূপ স্থাপন

সংখ্যা

১১৫৫

-

১১৫৫

২২.

ভূগর্ভস্থ পানির লবণাক্ততা পর্যবেক্ষণ নলকূপ স্থাপন

সংখ্যা

২৮৬

-

২৮৬

২৩.

ভূগর্ভস্থ পানিতল পর্যবেক্ষণ অটো ওয়াটার লেভেল রেকর্ডার স্থাপন

সংখ্যা

২০১

-

২০১

২৪.

ভূগর্ভস্থ পানির স্তর মনিটরিং ডাটা লগার স্থাপন

সংখ্যা

৪০০

-

৪০০

২৫.

ভূগর্ভস্থ পানির লবণাক্ততা মনিটরিং ডাটা লগার স্থাপন

সংখ্যা

২১৫

-

২১৫

২৬.

ভূগর্ভস্থ ও ভূপরিস্থ পানির রাসায়নিক গুণাগুণ পরীক্ষা

স্যাম্পল

২১৬১০

-

২১৬১০

২৭.

পোর্টেবল সেচ বিতরণ ব্যবস্থা নির্মাণ

মিটার

-

৪৫০০০

৪৫০০০

২৮.

নিরাপদ ফুল ও সবজি উৎপাদনে পলিশেড নির্মাণ

সংখ্যা

-

২৯.

স্প্রিংকলার সেচ ব্যবস্থার প্রদর্শনী প্লট স্থাপন

সংখ্যা

১৪

৩০.

ড্রিপ সেচ ব্যবস্থার প্রদর্শনী প্লট স্থাপন

সংখ্যা

৭১

৪৬

১১৭

৩১.

বিএডিসির অফিস ভবন নির্মাণ

সংখ্যা

১১৩

-

১১৩

৩২.

প্রশিক্ষণ (কৃষক/ ফিল্ডম্যান/ ম্যানেজার/ অপারেটর)

জন

৯৭৮১৯

৪০৫৩৫

১৩৮৩৫৪

৩৩.

সেচ এলাকা সম্প্রসারণ

লক্ষ হেক্টর

১.৯৫

০.৬৭

২.৮২

৩৪.

মোট সেচকৃত এলাকা

লক্ষ হেক্টর

৪.৬৭

১.৭৬

৬.৪৩